মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় চাউলের বাজার অস্থিতিশীল করার করিগর মিঠু

০ টি মন্তব্য 9 ভিউ 7 মিনিট পড়ুন
অ+অ-
রিসেট করুন

প্রতিনিধিঃ

কাজী ওমর ফারুক, মোংলা
print news | মোংলায় চাউলের বাজার অস্থিতিশীল করার করিগর মিঠু | সমবানী

ব্যবসায়ীদের আমদানি করা চাউল বস্তা থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চুরি করে উপাধি পান তিনি চোরা মিঠু নামে। পুরো নাম মোঃ মিঠু হলেও সকলে তাকে টুঙ্গিপাড়ার চোরা মিঠু হিসেবে চিনেন ।আওয়ামীলীগ আমলে দলের নাম ভাঙিয়ে শেষ চার বছরে হঠাৎ করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এ মিঠু বর্তমানে মোংলার চাউলের বাজার অস্থিতিশীল করার মূল করিগর । এমনটাই বলছেন ব্যবসায়ীরা ।

তবে এসব কথা এক বাক্যে অস্বীকার করেছেন মিঠু। তার বক্তব্য বতমান দেশের দুরবস্থাই মোংলার চাউলের বাজার অস্থিতিশীলতার কারন।

খবর নিয়ে জানাযায় ‘ চল্লিশ ছুঁই ছুঁই মিঠু একজন ধুরন্ধর প্রকৃতির লোক। পৈত্রিক ভাবে পাওয়া দুটি টুলারে মোংলার ব্যবসায়ীদের মালামাল আমদানি রপ্তানি করে চলতো তাদের সংসার । তবে বিগত আওয়ামীলীগ আমলের শেষ চার বছরে মিঠু চাউল কালো বাজারির সাথে জড়িয়ে পড়েন। চাউল মজুদ ব্যবসা করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান । আওয়ামীলীগ নেতাদের নজরে আসার জন্য তৎকালিন বিএনপি জামায়াতের আন্দোলন দমাতে কয়েক হাজার লগি বৈঠা এনে উপহার দেন।

এর পুরস্কার স্বরূপ তার বড় ভাই টিটু ওরফে গয়না টিটু মোংলার পাকা জেটিতে বন্দরের জায়গা অবৈধ দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। সুচতুর মিঠু সরকারের আয়কর ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে বছরের কোটি কোটি টাকার মুনাফা লুটে নিচ্ছে । বতর্মানে গা বাঁচাতে বিএনপির তৃতীয় সারির কয়েকজন নেতাকে এ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়েছে মিঠু ও তার বড় ভাই টিটু।

আরও পড়ুন

বিষয়টি খতিতে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মোংলা মোংলা বণিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান মাষ্টার । তিনি বলেন ‘ বাজার সিন্ডিকেট করলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।

মিঠুর কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন নাম প্রকাশ না করা সতে বলেছেন ‘ ব্লাকি করে কোটি কোটি টাকা বানিয়েছে মিঠু । এ টাকা সাদা করার জন্য বতর্মানে চাউল সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন । প্রতিদিন মিঠুর ২৫ কেজির ৮শ বস্তার দুই থেকে তিনটি ট্রাক মোংলা শহরসহ আশপাশ এলাকায় যায়। বাজার উধগতি দেখলে মিঠু মজুদ শুরু করে। ফলে মোংলা চাউলের বাজার আরো বেড়ে যায়। প্রায় প্রতিটি দোকানে তার টাকা দাদন দেওয়ার কারণে মুখ বুঝে তার চাউল ক্রয় করতে বাধ্য হয় ব্যবসায়ীরা। অথচ চাউল গুদাম জাতের তার কোন লাইসেন্স নেই। দুইজন পুরাতন ব্যবসায়ী তার এই গুদামজাতে সহায়তা করছে। সকলের দাবী কলো বাজারি মিঠুকে আইনের আওতায় আনলে মোংলার চাইলের বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

এ বিষয়ে মোংলা থানা ওসি মোঃ মোঃআনিসুর রহমান বলেছেন ‘ আমি নতুন মোংলা থানায় যোগদান করেছি। বিষয়টি আমি আমলে নিয়েছি। অপরাধ সংঘঠিত করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন


Discover more from সমবানী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

থেকে আরও পড়ুন

আপনি পছন্দ করতে পারেন

একটি মন্তব্য করুন

আর্কাইভ
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমরা ধরে নেব আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি চাইলে অপ্ট-আউট করতে পারেন৷ গ্রহণ করুন আরও পড়ুন

Discover more from সমবানী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading