মোংলার মামার ঘাটের খেয়াঘাটটি যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে পড়েছে। বেহাল খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত-শত মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়ায় খেয়াঘাটটিতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় স্থানীয়দের। বিশেষ করে নদীভাঙনের কারণে ঘাটের রাস্তাটি নদীতে বিলীন হওয়ার ভয়ে এমন দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ।
দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে পারাপারের ঘাটটি পারাপারের উপযোগী করার দাবি স্থানীদের।
দ্রুত মেরামত না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা যাত্রী ও ঘাট সমিতি মালিকদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মোংলা উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট হচ্ছে মামারঘাট খেয়াঘাট। এ ঘাটটি বাস ষ্টান্ড, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা ইপিজেডসহ কর্মজীবীদের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে পৌর শহরের মামারঘাটের খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটটির অবস্থা খুবই খারাপ। নদী ভাঙনের কারণে ঘাটে যাওয়ার রাস্তাটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীতে ওয়াপদা রাস্তার তিন ভাগের দুই ভাগ ভেঙে গেছে। অবশিষ্ট যে অংশ আছে, তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ, মোটরসাইকেল ও ভ্যান খেয়ার ট্রলারে উঠছে।
তা ছাড়া সরু রাস্তার ওপর দিয়ে খেয়া ট্রলারে উঠতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষ, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, শিশু, কিশোর, গুরুতর অসুস্থ রোগী, মোটরসাইকেল চালক ও ভ্যান চালকদের। মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা।
খেয়া পার হতে আসা রবিউল বলেন, সরকার এখান থেকে প্রতিবছর রাজস্ব আয় করে থাকে।ঘাটটির উন্নয়নে কারও মাথাব্যথা নেই। প্রতি দিন হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ঘাট দিয়ে নদীপার হয়। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মোটরসাইকেল চালক জুয়েল বলেন, ঘাটের মোংলার পাড়ের অবস্থা খুবই খারাপ। বিশেষ করে দুই পাড়ের ঘাট দিয়ে মোটরসাইকেল উঠানামা করতে বেশি অসুবিধা হয়। ঘাটটি সংস্কারের জরুরি হয়ে পড়েছে।
মাঝি সেলিম বলেন, প্রতিদিন এ খেয়াঘাট দিয়ে শত শত মানুষ পার হয়। ঘাটটির অবস্থা খুবই নাজুক।
পার হওয়ার সময় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মোংলা পোর্ট পৌরসভার প্রশাসক আফিয়া শারমিন বলেন, খেয়া ঘাটটির অবস্থা খুবই খারাপ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এটি সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© ২০২২ - ২০২৪ সমবানী কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত