ওসির সোর্স পরিচযে করতো চোরা কারবার নিয়ন্ত্রণ হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া সেই ক্ষমতাধর যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা
প্রতিনিধিঃ
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট
মিডিয়ার ফলো করে প্রকাশ করার পর অবশ্যই পুলিশ সোর্স পরিচয় দেয়া সেই ক্ষমতাধর যুবলীগ নেতা সাইকুলকে প্রধান আসামি করে রেকর্ড করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে গ্রেফতার আসামি সাইকুলকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
শনিবার সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ছিনিয়ে নেয়া আসামি সাইকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৩৪ জনের নামোল্লেখ সহ ১৫০জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে জেলা পুলিশ জানায়, চোরাকারবারি, মাদক ও মারামারি’র মামলার আসামি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সদস্য অব্যাহতি প্রাপ্ত সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান তাজ্জুত আলীর ছেলে সাইকুলকে গেল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় পুলিশ সীমান্তের শিলডুয়ারের চান্দের বাজার থেকে গ্রেফতার করে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ায়। পরে সিএনজি যোগে থানায় নিয়ে যাবার সময় চান্দের বাজার এলাকায় পুলিশের উপর আক্রমণ করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলায় এক থেকে দেড়শ মানুষ জড়িত ছিলেন বলে জানান সাইকুলকে গ্রেফতারকারি থানার এসআই নবী হোসেন।
জেলা পুলিশ আরো জানায় , সাইকুলের বিরুদ্ধে চোরাকারবারি, মাদক ও মারামারি’র মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার করে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানায় নিয়ে আসার সময় পুলিশের উপর হামলা করে সে হ্যান্ডকাপ সহ বীরদর্পে তাকে তার লালিত লোকজন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় থানার এসআই নবী হোসেন বাদী হয়ে পুলিশ এসল্ট মামলা করেছেন। মামলায় ৩৪ জনের নামোল্লেখ করে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি বিশ্বম্ভরপুর থানায় নবাগত ওসি হিসেবে কাওছার আলম যোগদানের পর থেকে চিনাকান্দি সীমান্ত চোরাচালানের ঘাট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে সাইকুল থানার ওসির সোর্স পরিচয়ে থানা পুলিশ, পুলিশের উধ্বর্তন অফিসার, বিজিবির অফিসার ও আইনশৃস্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে চিনি, কসমেটিকস, মসলা, বিদেশি মাদক, ইয়াবা কারবারি, আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় সেখ নাসির বিড়ি, কাঁচা-শুকনা মাছ, ফলমুল ,খাদ্য সামগ্রী, গবাধিপশু, রসুন চোরাকারবারিদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করতে থাকে।
সাইকুলের সীমান্ত চোরাচালান, চাঁদবাজির ব্যাপারে ওসি কাওছার আলমকে এলাকার লোকজন বারবার অভিযোগ করলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত এমনকি মাদকসহ সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে কোনো দৃশ্যমান আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) পদে থাকা অবস্থায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা থেকে কাওছারকে পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির আদেশ বলে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে যোগদান না করে তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে কৌশলে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন
- বোরহানউদ্দিনে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ
- ভোলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৫ কারবারি আটক
- বোরহানউদ্দিনে খাবারে নেশা খাওয়াইয়া অচেতন করে ২ লক্ষ টাকা চুরি অসুস্থ্য ৫ জন
Discover more from সমবানী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.