এবার বেতাগী পৌর শহরের শাক-সবজি ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডেকেছে। গত তিন দিন ধরে চলে ধর্মঘট। পৌর শহরে ব্যবসায়ীদের সুনির্দিষ্ট বসার স্থান না দেওয়া এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে অবহেলার কারণে এই ধর্মঘট ডেকেছে। এতে বিপাকে পড়েছে পৌর শহরের সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, পৌরসভা থেকে শাক সবজি বিক্রেতাদের নির্দিষ্ট স্থানে দোকান নিয়ে বসার জন্য বরাদ্দ দিলেও গত দু'বছর ধরেও বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা বসতে পারছে না। কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের (শাক সবজি) বিক্রেতা বলেন, তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও অবমূল্যায়ণ করা হচ্ছে।'
এবিষয় বেতাগী পৌর শহরের শাক-সবজি বিক্রেতা মো: নাসির উদ্দিন বলেন,' দুই বছর আগে কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের (শাক সবজি) পৌরসভা থেকে সুনির্দিষ্টভাবে 'পৌর টলঘর' বরাদ্দ দেওয়া হলেও, সেখানে সংস্কার কাজ চলে। অবশেষে টাউনব্রিজের ঢালে বসতে দেওয়া হয়। কিন্তু একপাশে রয়েছে পাবলিক টয়লেট। '
একাধিক সবজি বিক্রেতা বলেন‚ ‘টাউনব্রিজের ঢালে বসাটা ঝুঁকিপুর্ন‚ এছাড়া প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এসে আবার উঠিয়ে দেয়। বসার কোন সুনির্দিষ্ট স্থান নেই। সবজি বিক্রেতারা আরো বলেন‚ যতদিনে সবজি বিক্রেতাদের সুনির্দিষ্ট কোন স্থানে বসতে না দেওয়া হবে ততদিন পর্যন্ত শাক সবজি বিক্রেতাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। এবিষয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয়ক হোসেন আলী সিপাহী ও অন্তু খলিফা বলেন‚ ‘সবজি বিক্রেতাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার ও সুনির্দিষ্ট। কোন স্থানে বসতে না দেওয়া হয়,তবে তাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
বরগুনা বেতাগী পৌর শহরের কাঁচা বাজার ব্যবসায়ীদের শাক সবজি বিক্রির দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। বেতাগী পৌর শহর থেকে বুধবার (১০/১০/২০২৪) তোলা হয়েছে।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর ভারপ্রাপ্ত মেয়র ফারুক আহমেদ বলেন‚ ‘বিক্রেতাদের সাথে আলোচনায় বসে দু' একদিনের মধ্যে ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে।’
© ২০২২ - ২০২৪ সমবানী কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত