মায়ের মরদেহ মর্গে পাঠিয়ে দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন হ্যাপি মল্লিক (২৫)। গলা ও মুখে তার রক্তাক্ত জখম। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোংলার মাকড়ডোন এলাকায় তার মা সবিতা মল্লিকের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে সবিতার মরদেহ বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হ্যাপি মোংলা পৌর শহরের মাকড়ডোন এলাকার মেছের শাহ সড়কের বাসিন্দা শিক্ষক সুনীল মল্লিকের ছোট মেয়ে। বর্তমানে তিনি বিবিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
হ্যাপি জানান, মাকড়ঢোন এলাকায় তাদের নির্জন বাড়িতে ঢুকে একই এলাকার তন্ময় মন্ডল (৩৫) নামের এক যুবক তার মাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছেন। এরপর ঘরে ঢুকে শোকেসের কাঁচ ভেঙে তাকেও হত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি পালাতে সক্ষম হন। পরে তন্ময়ও পালিয়ে যান। এ সময়ে তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসে। পরে তার মাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করেছেন।
হ্যাপি আরও জানান, ১ মাস আগে তাকে একবার ইজিবাইকে ওঠার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তন্ময়। এটাই ছিল তন্ময়ের সঙ্গে প্রথম কথা তার। তবে এলাবাসী কয়েকজন জানিয়েছেন তন্ময়কে ওই বাসায় মাঝে মধ্যেই যেতে দেখা যেত।
অভিযুক্ত তন্ময় মন্ডল মাকড়ঢোনের কালিপদ মণ্ডল ওরফে কালুর ছেলে। তন্ময় পেশায় একজন ইজিবাইক চালক।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মৌসুমি ইয়াছমিন বলেন, রক্তক্ষরণ ও পানিতে ফেলে দেওয়ায় ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, “এটা একটি হত্যাকাণ্ড। হত্যাকারীকে আটকে আমরা মাঠে রয়েছি। তবে প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। হত্যাকারীকে ধরা গেলে রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব।
© ২০২২ - ২০২৪ সমবানী কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত